Logo
Logo
×

ব্যবসা ও বাণিজ্য

নিত্যপণ্য

মসলার বাজারেও দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতি

Icon

বাণিজ্য ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪২ পিএম

মসলার বাজারেও দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতি

ঈদুল আজহার মতো ঈদুল ফিতরে মসলার চাহিদা ততটা বাড়ে না। তারপরও মসলার বাজারে খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেছে, বেশ কিছু মসলার দাম গতবারের চেয়ে অনেকটাই বেড়ে গেছে।

এক বছরের ব্যবধানে এলাচের দাম বেড়েছে কেজিতে ১ হাজার টাকা। গত বছর যে এলাচ বিক্রি হয়েছিল ২ হাজার ৫৫০ টাকায় সেটির দাম এ বছর ৩ হাজার ৬০০ টাকা। এ ছাড়া গত ৯ মাসের ব্যবধানে বেড়েছে প্রায় সব ধরনের গরম মসলার দাম। গত বছরের জুনে জিরার কেজি ছিল ৭৭০ টাকা। এ বছর মার্চে সেটি ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। দারুচিনির কেজি ছিল ৪৪০ টাকা, বর্তমানে ১৬০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। লবঙ্গের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩২০ টাকা। গত বছর মসলাটি বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৪৮০ টাকায়, বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ টাকা কেজিতে। 

এলাচের দাম এক বছরের ব্যবধানে ১ হাজার টাকা বেড়েছে। গত বছর এলাচের কেজি ছিল ২ হাজার ৬০০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৬০০ টাকায়। এক মাসের ব্যবধানে পাকিস্তানি কিশমিশের দাম ৭০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৪০ টাকায়, ভারতীয় কিশমিশ ১০০ টাকা বেড়ে ৫৫০ টাকা হয়েছে। কালো গোলমরিচের দাম ২২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮৮০ টাকায়। সাদা গোলমরিচ ১ হাজার ২০০ টাকা। এ ছাড়া তার দোকানে দারুচিনি ৬০০ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ৮০০ টাকা, বাদাম ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

কাওরান বাজারে প্রতি কেজি গুঁড়া হলুদে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়, ৪০ টাকা বেড়ে গুঁড়া মরিচ ৪৮০ টাকায়, গুঁড়া ধনে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বাজারটিতে আদা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে। পেঁয়াজের কেজি ৫০ টাকা ও আমদানি করা রসুন ২০০ এবং দেশি নতুন রসুন ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তেজপাতা ২০০ টাকা, কাঠবাদাম ৩০০ টাকা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার টাকা ও কাজুবাদাম ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

যমুনা ফিউচার পার্কের দ্বিতীয় তলায় বেশ কয়েকটি দোকানে আমদানি করা মসলাপাতি বিক্রি করা হয়। সেখানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জিরা বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজিতে, দারুচিনি ৫০০ থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ৮০০ টাকা, পাকিস্তানি কিশমিশ ৬৮০ ও ভারতীয় ৬২০ টাকা, সাদা গোলমরিচ ১ হাজার ও কালো ৯০০ টাকা, আলুবোখারা ৫৫০ টাকা, ভারতীয় জিরা ৮০০ ও তুরকি ১ হাজার ১০০ টাকা, জয়ত্রী ৩ হাজার ১০০ টাকা, ছোট এলাচ ৩ হাজার, বড় দানা ৪ হাজার টাকা, কাঠবাদাম ১ হাজার ৮০, কাজুবাদাম ১ হাজার ৩০০ ও জাম্বু ১ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

১২০ টাকার নিচে পোলাওর চাল নেই 

পোলাওর চালের মধ্যে মোজাম্মেল ও মঞ্জুর চিনিগুঁড়া চাল ১৪০ টাকা কেজি ও নওফেলের চিনিগুঁড়া ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেটজাত চিনিগুঁড়া চালের মধ্যে এরফান ১৭৫ টাকা, আকিজের এসেন্সিয়াল ১৭০ টাকা, প্রাণ কোম্পানির চাল ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তা ছাড়া প্রাণ কোম্পানির চিকন সেমাই ২০০ গ্রাম বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়, ২০০ গ্রাম মেট্রো সেমাই ৫০ টাকা, বনফুল ৫০ টাকা এবং কুলসুন সেমাই ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেড়েছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম

কারওয়ান বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে দাম ছিল ২০০ টাকা কেজি। একই সময়ে সোনালি মুরগির দাম ৩০ টাকা বেড়ে ৩৩০ টাকা ও লেয়ার মুরগির দাম ২০ টাকা বেড়ে ৩২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়। 

ঢাকা টুডের একটি প্রকাশনা

অনুসরণ করুন