Logo
Logo
×

শিক্ষা

বুয়েটে বিক্ষোভ, দাবি প্রসঙ্গে সময় চাইলেন উপাচার্য

Icon

ক্যাম্পাস ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২৪, ১২:২৮ এএম

বুয়েটে বিক্ষোভ, দাবি প্রসঙ্গে সময় চাইলেন উপাচার্য

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কথা বলেন বুয়েটের উপাচার্য সত্যপ্রসাদ মজুমদার

ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের প্রবেশের প্রতিবাদে বুয়েট শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবিতে চলমান বিক্ষোভ শুক্রবারের মতো শেষ হয়েছে। দাবি পূরণে উপাচার্য সময় চাইলেও শিক্ষার্থীরা তাদের বেঁধে দেওয়া সময়ের বিষয়ে অনড়।

আজ শনিবার সকাল আটটায় তাঁরা আবারও বুয়েট শহীদ মিনারে জড়ো হবেন।  

২০১৯ সালে শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে। কিন্তু গত বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে ছাত্রলীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের উপস্থিতিতে নেতা-কর্মীদের একটি বহর বুয়েট ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ করে বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ। 

এদিকে গতকাল শুক্রবার বিকেলে শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করে আগামীকাল ও পরের দিনের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দেন। পাশাপাশি পাঁচ দফা দাবি জানান।

দাবিগুলো হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে বুধবার (২৮ মার্চ) মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক পুরকৌশল বিভাগের ২১তম ব্যাচের ছাত্র ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইমতিয়াজ রাব্বিকে বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং হলের (আসন) বাতিল; ওই ঘটনায় ইমতিয়াজ রাব্বির সঙ্গে বুয়েটের বাকি যেসব শিক্ষার্থী জড়িত ছিলেন, তাঁদের বিভিন্ন মেয়াদে হল এবং টার্ম বহিষ্কার; যেসব বহিরাগত রাজনৈতিক ব্যক্তি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না এবং তাঁরা কেন কীভাবে প্রবেশ করার অনুমতি পেলেন, সে ব্যাপারে বুয়েট প্রশাসনের সুস্পষ্ট সদুত্তর ও জবাবদিহি; প্রথম দুটি দাবি দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়ন না হলে ডিএসডব্লিউর পদত্যাগ এবং আন্দোলনরত বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো রকম হয়রানিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ার বিষয়ে লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়া।

সংবাদ সম্মেলনের পর শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বুয়েটের ড. এম এ রশীদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। সেখানে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁদের বিক্ষোভ চলে। সেখানেই তাঁরা ইফতার করেন। ইফতারের পর সন্ধ্যা সাতটার দিকে বুয়েটের উপাচার্য সত্যপ্রসাদ মজুমদার সেখানে আসেন। এ সময় সহ-উপাচার্য আবদুল জব্বার খান, ডিএসডব্লিউ মিজানুর রহমান প্রমুখ তাঁর সঙ্গে ছিলেন।

উপাচার্য শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে কথা বলেন। তিনি ইমতিয়াজ রাব্বির হলের সিট বাতিল করার ঘোষণা দেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা চিৎকার করে ওঠেন। উপাচার্য বলেন, কাউকে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। 

দ্বিতীয় দাবি প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, সেটির বিষয়ে তদন্ত কমিটি আজই করা হবে। চতুর্থ দাবি অনুযায়ী, বুয়েটে প্রবেশ করা বহিরাগতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তারা কারা, তা খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিটি করা হবে।

এ পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা আবার চিৎকার করে ওঠেন। তাঁদের দাবি তাঁদের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে হবে। উপাচার্য শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, এক নম্বর দাবির বিষয়ে প্রজ্ঞাপন দেওয়া হবে। দুই নম্বর দাবি অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এ জন্য উপাচার্য সময় চান এবং শিক্ষার্থীদের আজকের (শনিবার) পরীক্ষায় বসতে অনুরোধ জানান। এরপর উপাচার্যসহ পদস্থ শিক্ষকেরা চলে যান। পরে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আজকের মতো বিক্ষোভ শেষ করার ঘোষণা দেওয়া হয়। দাবি আদায়ে আজ সকাল আটটায় আবারও বুয়েট শহীদ মিনারে তাঁরা জড়ো হবেন বলে ঘোষণা দেন।

ঢাকা টুডের একটি প্রকাশনা

অনুসরণ করুন