২০ এপ্রিল দেশে ফিরতে পারেন এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকরা
![Icon](https://www.dhakatoday24.com/uploads/settings/icon-removebg-previewicon-2-1711186956.png)
ঢাকা টুডে ২৪ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৯ পিএম
![২০ এপ্রিল দেশে ফিরতে পারেন এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকরা](https://www.dhakatoday24.com/uploads/2024/04/online/photos/mv-abdullah-661cd05e53066.jpg)
এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজ
জিম্মি দশা থেকে মুক্ত এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটি ১৯ এপ্রিল দুবাই পৌঁছতে পারে জানিয়ে জাহাজটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান কেএসআরএমর উপমহাব্যবস্থাপক শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেন, আগামী ২০ এপ্রিল এয়ারে করে সরাসরি চট্টগ্রামে পৌঁছার সম্ভাবনা রয়েছে নাবিকদের।
রবিবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে নিজ প্রতিষ্ঠানের কর্পোরেট কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ তথ্য জানান। শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেন, ‘আমাদের কাছে নাবিকদের জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টির গুরুত্ব ছিল। মালিকপক্ষ বা আমরা সরাসরি জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ করিনি। যারা এটি নিয়ে কাজ করেন তাদের সাহায্য নিয়েছি। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে জাহাজসহ নাবিকদের উদ্ধার করা গেছে।’
ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ উদ্ধারে অভিযান চালানোর পরিকল্পনাকেও নিরুৎসাহিত করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর পিছু নেওয়ার পর সরকারকে দ্রুত বিষয়টি অবহিত করি। ৩০ মিনিটের মধ্যে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ এটির সঙ্গ ত্যাগ করে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
জাহাজের নিরাপত্তার ঘাটতির বিষয়ে শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেন, ‘আমাদের জাহাজটি যে রুট হয়ে যাচ্ছিল সেখানে গত এক দশকে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। ৯০০ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে জাহাজটি চলাচল করছিল। সে জন্য জাহাজে গানম্যান ছিল না। তবে, এবার থেকে আমরা আরও সতর্ক অবস্থায় জাহাজ পরিচালনা করব।’
সংবাদ সম্মেলনে কেএসআরএমের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিমও উপস্থিত ছিলেন। ছিনতাই হওয়া এমভি আব্দুল্লাহ উদ্ধারে ‘প্রপার ওয়েতে’ কাজ করেছি জানিয়ে তিনি বলেন, ১৩ বছর আগে আমাদের আরেকটি জাহাজ জাহানমনি জিম্মি হয়েছিল। তখন আমাদের অভিজ্ঞতার অভাব ছিল। সে জন্য জাহাজটি উদ্ধারে সময় বেশি লেগেছিল। এমভি আব্দুল্লাহ জিম্মি হওয়ার পর, দ্রুত উদ্ধারে প্রপার ওয়েতে কাজ করেছি। তাই জিম্মি হওয়ার মাত্র ৩১ দিন পর এটি উদ্ধার করতে সক্ষম হই।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাহাজটি জিম্মি হওয়ার পর থেকে জাহাজের ভিসেটের মাধ্যমে সব তথ্য তদারকি করেছি। সোমালিয়ার উপকূলে জাহাজটি যাওয়ার পরপরই জলদস্যুদের একজন কমান্ডার যোগাযোগ করেন। ওই কমান্ডার ইংরেজি বলতে পারেন, তিনি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার কাছ থেকে আমরা প্রতিনিয়ত তথ্য পেতাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল জাহাজের নাবিকেরা সুস্থ আছেন কি-না তা নিশ্চিত করা। আমরা জানতাম নাবিকেরা প্রতিদিন পরিবারের সঙ্গে কথা বলত। তারপরও আমরা নাবিকেরা কেমন আছে, জলদস্যুদের কাছ থেকে সেটির ভিডিও নিতাম।’
মেহেরুল করিম বলেন, ‘সর্বশেষ গত দুই দিন আগে আমাদের মধ্যে সমঝোতা হয়। তারপর সবকিছু আইন মোতাবেক করে, জিম্মিদের ছাড়াতে সক্ষম হই। জাহাজটিতে ৬৫ জন জলদস্যু ছিল। সমঝোতার পর শনিবার রাত ৩টার দিকে তারা জাহাজটি ছেড়ে যান।’