বাংলার পণ্য বাংলারই থাকবে : শিল্পমন্ত্রী
![Icon](https://www.dhakatoday24.com/uploads/settings/icon-removebg-previewicon-2-1711186956.png)
ঢাকা টুডে ২৪ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৬ পিএম
![বাংলার পণ্য বাংলারই থাকবে : শিল্পমন্ত্রী](https://www.dhakatoday24.com/uploads/2024/04/online/photos/shilpo-662a161ff0737.jpg)
বৃহস্পতিবার জিআই পণ্যের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন
কেউ ইচ্ছা করলেই আমাদের পণ্যগুলো নিয়ে যেতে পারবে না। কেননা প্রতিটি পণ্যই এখানকার ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং এ দেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ইচ্ছে করলেই কেউ তা নকল করতে পারবে না। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এসব কথা বলেন।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মাল্টিপারপাস হলে ‘শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা, ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফী বিনতে শামস প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ১২টি পণ্যের সনদ দেওয়া হয়। পণ্যগুলো হলো ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, টাঙ্গাইলের চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, কুষ্টিয়ার তিলেরখাজা, রংপুরের হাড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজারের আগর আতর, মুক্তাগাছার মন্ডা, যশোরের খেজুরের গুড়, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা, রাজশাহীর মিষ্টিপান, গোপালগঞ্জের রসগোল্লা, জামালপুরের নকশি কাঁথা, টাঙ্গাইলের শাড়ি।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বহির্বিশ্বের সকলের সঙ্গে বাজার নিয়ে মোকাবিলা করতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বিশ্ব দরবারে এগিয়ে যাচ্ছি। ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল আমাদের ঐতিহ্য। কোরবানির পশুর জন্য এখন আর কোনো দেশের ওপর নির্ভর করতে হয় না। এক সময় আমরা রপ্তানিও করতে পারব।
তিনি বলেন, দেশের পণ্যগুলো বিদেশের বাজার পেতে অনেকের সঙ্গে আলোচনার দরকার পড়ে। সেই আলোচনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাতে সহযোগিতা করতে পারে। বিভিন্ন দেশে আমাদের যেসব এম্বাসি আছে সেখানে লিফলেটের মাধ্যমে প্রচার করতে হবে। বিমানবন্দরগুলোসহ বিভিন্ন জায়গায় আমাদের প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ প্রচারেই প্রসার। আর প্রচারের সঙ্গে কোয়ালিটিও নিশ্চিত করতে হবে।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন পর্যটনের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে বলেন, মোগল স্থাপত্য, ঐতিহাসিক স্থানগুলোকে আমাদের পর্যটনের স্থানে পরিণত করতে হবে। তা ছাড়া জেলায় জেলায় যে এসএমই মেলাগুলো হয় সেখানকার পণ্যগুলোরও প্রচার করতে হবে।